জমি কেনার আগে সতর্ক থাকবেন যেসব বিষয়ে:::
জমি কেনার আগে সতর্ক থাকবেন যেসব বিষয়ে:::
বাংলাদেশে প্রায়ই জমি কেনা-বেচার ক্ষেত্রে নানা ধরনের জালিয়াতির ঘটনা শোনা যায়। যার ফলে ভোগান্তির পাশাপাশি সর্বস্ব হারান অনেকেই।
তাড়াহুড়ো না করে জমি কেনার আগে কিছু বিষয় যাচাই করে নিলে প্রতারণার শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-
#কাগজপত্রের_কপি:
#কাগজপত্র_যাচাই:
সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাই করতে তিনটি অফিসে যেতে হবে। তহসিল বা ভূমি অফিস, এসি (ল্যান্ড) বা সহকারী ভূমি অফিস এবং সাব-রেজিস্ট্রার অফিস।
তহসিল বা ইউনিয়ন ভূমি অফিস: জমি সংক্রান্ত অভিযোগ, দ্বন্দ্ব, মামলার তথ্য নিশ্চিত করতে তহসিল হচ্ছে প্রাথমিক জায়গা। জমির প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে তথ্য পেতে তহসিল অফিস সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ। খাজনার রশিদটি সঠিক কি-না, প্রস্তাবিত দাগ ও খতিয়ানের জমির প্রকৃত মালিক কে, জমিতে কোন সরকারি স্বার্থ জড়িত আছে কী-না সেটি দেখতে হবে। এখানে সরকারি স্বার্থ বলতে খাস জমি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি , ওয়াকফ এস্টেট এবং সরকারি অধিগ্রহণের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে।
এসি ল্যান্ড অফিস: মিউটেশন বা নামজারি সংক্রান্ত তথ্য বা দ্বন্দ্বের বিষয়ে নিশ্চিত হতে যেতে হবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে। বিক্রেতার নামজারির কাগজপত্র (মিউটেশন পড়চা, ডিসিআর) ঠিকঠাক না হলে জমি রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব হবে না।
সাব-রেজিস্ট্রার অফিস: বিক্রেতা থেকে প্রাপ্ত দলিলগুলো আসল কিনা সেটা যাচায় করতে সাব রেজিষ্ট্রেশন অফিসে দলিলের রেকর্ডকৃত বালাম বহি চেক করে প্রকৃত মালিকানা যাচাই করতে হবে।
#সরেজমিন_অবস্থা:
কাগজপত্রের তথ্য পাওয়ার পর জমি কিনতে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে হবে।এতে করে জমিটি কেমন, সেখানে কোনো ডোবা বা পুকুর আছে কিনা, রাস্তার অবস্থান কী, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা তৈরি হবে। এছাড়া সেই জমি সরকার অধিগ্রহণ করেছে কি-না, বা জায়গা যেমন কাগজে উল্লেখ রয়েছে তার থেকে কম-বেশি আছে কিনা সেসব বিষয়ে ধারণা পাওয়া সম্ভব।
আরও কিছু সতর্কতা:
এতকিছু নিশ্চিত করে নেওয়ার একটা বড় উদ্দেশ্য জমি নিষ্কটক নিশ্চিত করা। কারণ মামলা মোকদ্দমায় বা মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধ পরবর্তীতে ক্রেতার জন্য বাড়তি ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে।
ভূমি সংক্রান্ত আরো তথ্য পেতে পোস্টটি লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করুনঃ
#জয়_তালুকদার #সদর_সাব_রেজিস্ট্রি_অফিস,#কোর্ট_হিল,#চট্টগ্রাম।
কোন মন্তব্য নেই