আর এস খতিয়ান( R.S.Khatian ),আর এস জরিপ::
R.S.Khatian / #আর_এস_খতিয়ান সম্পর্কে কিছু ধারণাঃ
আর এস খতিয়ান/ পর্চা চেনার সহজ উপায়ঃঃ
আর এস খতিয়ান : ১৮৮৮-১৯৪০ সাল পর্যন্ত জরিপ হওয়ার পর তাতে কিছু ত্রুটি থাকায় ভূমির মালিকানা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হতে থাকে।আবার দীর্ঘ সময়ে জমির মালিকানা পরিবর্তনের ফলে সরেজমিনে জরিপের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। উল্লেখিত ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য পরবর্তীতে যে জরিপ করা হয় তাকে সংশোধনী জরিপ বা রিভিশনাল সেটেলমেন্ট (আরএস) খতিয়ান নামে পরিচিত। দেখা যায় যে, এসএ জরিপের আলোকে প্রস্তুতকৃত খতিয়ান প্রস্তুতের সময় জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে তদন্ত করেনি। তাতে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে। ওই ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি মাপ-ঝোঁক করে পুনরায় খতিয়ান প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। সারাদেশে এখন পর্যন্ত তা সমাপ্ত না হলেও অনেক জেলাতেই আরএস খতিয়ান চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে। সরকারি আমিনরা মাঠে গিয়ে সরেজমিনে জমি মাপামাপি করে এই খতিয়ান প্রস্তুত করেন বলে তাতে ভুলত্রুটি কম লক্ষ্য করা যায়।
আরএস খতিয়ান/পর্চা চেনার সহজ উপায় :
১। এই পর্চা প্রিন্টেড এবং প্রত্যেক অংশীদারের হিস্যা অংশ আলাদা আলাদা করে নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
২। এতে অঙ্কের কলাম ও রাজস্ব কলাম পাশাপাশি অবস্থান করে।
৩। ১৯৮২ সালের পর এই পর্চায় থানা কথাটির পাশাপাশি উপজেলা কথাটি লেখা রয়েছে।
৪। এই পর্চা আড়াআড়ি বা খাড়াখাড়ি উভয় প্রকারের পাওয়া যায়।
৫। এতে আড়াআড়ি পর্চাটি এক পৃষ্ঠা সম্বলিত এবং আড়াআড়ি পর্চাটি উভয় পৃষ্ঠা সম্বলিত।
৬। আরএস খতিয়ান উপরে-নীচে লম্বা।
৭। আরএস খতিয়ানের ১ম পৃষ্ঠার নিচে বাম দিকে ১০৫/১০৬/১০৮/১০৯ ধারামতে খতিয়ান নং-এ কথাগুলো লেখা থাকে।
৮। প্রথম পৃষ্ঠার উপরে জেলা, মৌজা এবং খতিয়ান নং লেখা থাকে। তবে এই খতিয়ান নং-এ কেবল একটা নাম্বারই লেখা থাকে।
৯। আরএস খতিয়ানের ২য় পৃষ্ঠার দাগ নং কলামের উপর সীমানায় দখলদার নামে একটি কলম আছে। যা অন্য কোনো খতিয়ানে থাকে না। অনেক সময় দেখ যায়, আরএস খতিয়ানের ফরমে পিএস খতিয়ান লেখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে উত্তর সীমানার দখলকার এর ঘরটি খালি থকে না। কিম্বা এ কলমটি কেটে দেয়া থাকে।
জয় তালুকদার
সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস,কোর্ট হিল,চট্টগ্রাম।
Contact Us:
Mobile No:01832060108
My Facebook page link: https://shorten.world/HHqdU
কোন মন্তব্য নেই