Header Ads

Header ADS

ভূমি ও জায়গা নামজারি বা মিউটেশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা::


ভূমি ও জায়গা নামজারি বা মিউটেশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা::
নামজারি অনেকের কাছে দুর্বোধ্য একটি বিষয়। মিউটেশন অথবা নামজারি বিষয়টি প্রণয়ন করা হয়েছে ভূমির মালিকের মালিকানা নিয়ে জটিলতা এড়ানোর জন্য। যখন কোন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান বৈধভাবে অথবা আইনগতভাবে ভূমি বা জমির মালিকানা অর্জন করে সরকারি রেকর্ডে মালিকানার নাম হালনাগাদ করা হলো নামজারি।
🔰নামজারি কি এবং কেন?
নামজারি বা মিউটেশন অর্থ হলো বর্তমানে থাকা খতিয়ান থেকে নতুন মালিকের নাম সংজোজন করে নতুন একটি খতিয়ান তৈরি করা। এককথায় বর্তমানে খতিয়ানে যার নাম আছে তার নামের পরিবর্তে নতুন ভূমি মালিকের নামে খতিয়ান তৈরি করা।
নামজারি যখন সম্পন্ন হয় নতুন নাম্বারে একটি খতিয়ান নতুন মালিককে দেওয়া হয়। সে খতিয়ানে নামজারীকারীর অর্জিত জমি/ভূমির সংক্ষিপ্ত বিবরণী উল্লেখ থাকে।
খতিয়ানে নতুন মালিকের নাম, কোন মৌজা, মৌজার নাম্বর (জে এল নাম্বর), জরিপের দাগ নাম্বর, দাগে মোট জমির পরিমাণ, একের অধিক মালিক হলে তাদের নির্ধারিত জমির পরিমাণ ও প্রতি বছরের ধার্যকৃত খাজনা (ভূমি উন্নয়ন কর) ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকবে।
🔰কোন ক্ষেত্রে নামজারি করা যায়?
♻️ ওয়ারিশমূলে মালিকানা অর্জন
জমির মালিকের মৃত্যুতে আইনগত ওয়ারিশ বা ওয়ারিশগণের অনুকূলে মৃত মালিকের অংশীয় জমির মালিকানা পরিবর্তিত হলে নামজারির আবেদন করা যায়। এক্ষেত্রে অংশনামা সৃজনের মাধ্যমে নামজারি হতে পারে।
♻️ ক্রয়, দান, হেবামূলে মালিকানা অর্জিত হলে
রেজিস্ট্রি দলিলমূলে জমি বা ভূমি ক্রয়, দান, হেবা বা ওয়াকফ বা উইলমূলে ক্রেতা বা গ্রহীতার অনুকূলে মালিকানা হস্তান্তরিত বা পরিবর্তিত করার জন্য নামজারির আবেদন করা যায়। জমি কেনার আগে ও পরে আপনার করণীয় যে বিষয়গুলো রয়েছে তারমধ্যে নামজারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
♻️জমি বন্দোবস্ত পেলে করণীয়
সরকারের নিকট থেকে কেউ খাস জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত নিলে বিধি মোতাবেক বন্দোবস্ত গ্রহীতার অনুকূলে মালিকানার পরিবর্তনের জন্য নামজারির আবেদন করা যায়।
♻️ সরকারি অধিগ্রহণ
সরকারি প্রয়োজনে কোন সম্পত্তি অধিগ্রহণ করলে বা ক্রয় করলে সরকারের অনুকূলে মালিকানার পরিবর্তনের জন্য নামজারির আবেদন করা যায়।
♻️ নিলামে ক্রয়
নিলাম ক্রয়কৃত জমির ক্রেতার অনুকূলে জমির মালিকানা পরিবর্তনের জন্য নামজারি হতে পারে।
♻️ মালিকের স্বত্ত্ব বিলোপ
সিকস্তি বা জমিদারি উচ্ছেদ বা প্রজস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ৯০, ৯১, ৯২ ও ৯৩ ধারার আওতায় কোন মালিকের স্বত্ব বিলোপ হলে মালিকানা সরকারের অনুকূলে পরিবর্তিত হলে নামজারি হতে পারে।
♻️ডিক্রিমূলে মালিকানা পেলে
স্বত্ব ঘোষণা সংক্রান্ত দেওয়ানি মামলার স্বত্ব ঘোষণামূলক ডিক্রি বা আদেশবলে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকানা ডিক্রি প্রাপকের অনুকূলে করার জন্য নামজারির আবেদন করা যায়।
🔰নামজারি বা মিউটেশনের সুবিধা কি::
নামজারি করার মাধ্যমে সাবেক মালিকের পরিবর্তে নতুন মালিকের নাম রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত থাকে বলে সাবেক মালিক প্রতারণার মাধ্যমে একই জমি একাধিকবার বিক্রয় করতে পারে না। যার কারণে জমি নিয়ে বিরোধের অবসান ঘটে।
নতুন মালিকের নিজ নামে স্বতন্ত্র খতিয়ান সৃষ্টি হওয়ার ফলে জমির মালিকানার প্রমাণ হিসেবে সর্বক্ষেত্রে এই খতিয়ান গ্রহণযোগ্য হয়।
পাশাপাশি খারিজ খতিয়ানের উপর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যায়। এবং এই দাখিলা সহজে ভূমির মালিকানা ও দখল প্রমাণ করে।
গৃহ নির্মাণ, ব্যাংক ঋণ, জমি বিক্রয় প্রভৃতি কাজের জন্য নামজারি ও জমাখারিজ অধিকতর কাজে আসে। সহজে ভূমির মালিকানা প্রমাণের জন্য নামজারির বিকল্প নেই।
🔰সঠিক সময়ে নামজারি না করলে অসুবিধা::
সঠিক সময়ে নামজারি বা মিউটেশন না করলে বিক্রেতা বা পূর্বের মালিক একই জমি একাধিক ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করার সুযোগ পায় যার কারণে পরবর্তীতে নানান আইনি জটিলতার সৃষ্টি করে।
যৌথ খতিয়ানের জমির দখল নিয়েও জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। নামজারি করা না হলে নিজ নামে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যায় না।
Contact Us: Mobile No:01832060108 My Facebook page link: https://shorten.world/HHqdU

কোন মন্তব্য নেই

ULTRA_GENERIC থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.