Header Ads

Header ADS

খাস জমিঃ

 #খাস_জমিঃ



কোনো জমি যদি সরকারের হাতে ন্যস্ত হয় এবং সেই জমিগুলি যদি সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং সরকার,এই জমিগুলি সরকার কর্তৃক প্রণীত পদ্ধতি অনুযায়ী বন্দোবস্ত দিতে পারেন অথবা অন্য কোনো ভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে উক্ত ভূমিগুলিকে খাস জমি বলে।
১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ৭৬ ধারার ১ উপধারায় খাস জমি সম্বন্ধে বলা হয়েছে।
উক্ত ধারায় বলা হয়েছে যে,কোনো ভূমি যদি সরকারের হাতে ন্যস্ত হয় এবং সেই জমিগুলি যদি সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে তাহলে সরকার,এই ভূমিগুলি সরকার কর্তৃক প্রণীত পদ্ধতি অনুযায়ী বন্দোবস্ত দিতে পারেন,অথবা অন্য কোনো ভাবে ব্যবহার করতে পারেন, সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন উপরোক্ত ভূমিগুলিকে খাস জমি হিসাবে বুঝাবে।
দীর্ঘদিন ধরে যদি ব্যক্তি মালিকানার কোন জমি বা জায়গা ভোগ দখল করার শর্তেও সরকারি কোষাগারে ৪০ বছরের অধিক সময় খাজনা প্রদান করা না হয় তাহলে উক্ত জমি বা জায়গাটি খাস হয়ে যাবে।
খাস জমি পুনরায় ব্যক্তি মালিকানায় আনতে হলে সিভিল কোর্টে মামলা করতে হবে।পরবর্তীতে মামলা চলাকালীন জায়গায় সুনির্দিষ্ট ডকুমেন্টস আদালতে পেশ করে কোর্ট হতে ডিক্রি নিয়ে নিজ উপজেলার ভূমি অফিসে যোগাযোগ করে জমির মালিকানা পরিবর্তন করা যাবে।অন্যথায় সরকার হতে লিজ বা বন্দোবস্তী নেয়ার মাধ্যমে নিজ জমি দখলে রাখা যাবে।
যেভাবে খাস জমির শ্রেণীবিন্যাস করা হয়
১৯৮৭ সালের খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি খাসজমি ভূমিহনিদের মাঝে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে। উক্ত ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতি মালা কিছুটা সংশোধন করে ১৯৯৭ সালে খাসজমিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. কৃষি খাস জমি
২. অকৃষি খাস জমি
ক) চা বাগান, রাবার বাগান, চিংড়ি চাষের জমি
খ) সর্বসাধারণের ব্যবহার্য জমি যেমন রাস্তা, খাল, ঘাট ইত্যাদি
গ) জেগে উঠা চরের জমি
খাসজমি কিভাবে বন্দোবস্ত নিবেনঃ-
১৯৫০ সালের আইন অনুযায়ী পরবর্তিকালে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে খাসজমি অর্জন হয়। এছাড়াও পয়োস্তি জমি, অধিগ্রহণ উদ্বৃত্ত জমি, মালিকানা বিহীন জমি ও পরবর্তি সময়ের সিলিং উদ্বৃত্ত জমি খাসজমি হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। প্রতিটি মৌজার ১নং খতিয়ানে খাসজমির বিবরণ লিপিবদ্ধ করা হয়। খাসজমির খতিয়ানে মালিকের নামের স্থানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক কথাটি লিখা হয়। খাসজমির তথ্য জেলা রেকর্ডরুম, উপজেলা ভূমি অফিস এবং ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সংরক্ষণ করা হয়। যে কেউ সেইসব অফিস থেকে তা সংগ্রহ করতে পারে।
১৯৯৭ সালে সংশোধিত কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দেবস্ত নীতিমালা অনুযায়ী দেশের সকল মেট্রোপলিটন এলাকা, সকল পৌর এলাকা এবং সকল জেলা/উপজেলা সদর এলাকাভূক্ত সকল প্রকার জমিকে অকৃষি এবং এর ব্যতিত অন্য এলাকায় অবস্থিত সকল প্রকার কৃষিযোগ্য খাসজমিই কৃষি খাসজমি হিসাবে বিবেচিত। কৃষি খাসজমি ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
কৃষি খাস জমি সাধারণত ভূমিহীনরা বন্দোবস্ত পাওয়ার অধিকারী। সে জন্য জেনে নেয়া দরকার কারা ভূমিহীন হিসেবে গণ্য হবে। খাস জমি বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী সেই সব পরিবার ভূমিহীন বলে গণ্য হবে যেসব পরিবারের (ক) বসতবাড়ী ও কৃষি জমি কিছুই নাই, কিন্তু পরিবারটি কৃষি নির্ভর (খ) ১০ শতাংশ পর্যন্ত বসতবাড়ী আছে কিন্তু কৃষিযোগ্য জমি নেই, এইরূপ কৃষি নির্ভর পরিবারও ভূমিহীন হিসেবে গণ্য হবে।
তবে একটি উপজেলায় ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা অনেক খাকতে পারে । সবাইকে একসাথে জমি দেয়া সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ সেই উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ খাস জমি নাও থাকতে পারে। খাস জমি থাকলেও দেখা যায় দেওয়ানি আদালতে মামলা মোকদ্দমা থাকার কারণে বন্দোবস্ত দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া সকল শ্রেণীর খাস জমি বরাদ্দ দেয়া যায় না। তাই সরকার ভূমিহীনদের জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার একটি অগ্রাধিকারের ক্রম তৈরি করে দিয়েছে। সেই অগ্রাধিকারের ক্রম নিচে দেয়া হল-
সবার আগে (১) দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, এরপর (২) নদীভাঙা পরিবার, তারপর (৩) সক্ষম পুত্রসহ বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্তা পরিবার, তারপর (৪) কৃষি জমিহীন ও বাস্তুভিটাহীন পরিবার, তারপর (৫) অধিগ্রহণের ফলে ভূমিহীন পরিবার, সবশেষে (৬) যে পরিবারের ১০ শতাংশ পর্যন্ত বসতবাড়ী আছে, কৃষি জমি নেই কিন্তু কৃষি নির্ভর

কোন মন্তব্য নেই

ULTRA_GENERIC থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.