Header Ads

Header ADS

মৌজা,সাবেক খতিয়ান,হাল খতিয়ান::

 জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ঃমৌজা,সাবেক খতিয়ান,হাল খতিয়ান


#মৌজাঃ মৌজা হলো কিছু জমির খন্ডে ভাগ করে প্রতিটি খণ্ডের একটি নম্বর দেয়া হলো। যে নম্বরকে দাগ বলে।তাহলে সহজ কথায় বলা যায় কিছু দাগ নিয়ে একটি মৌজা গঠিত হয়। মৌজাকে ভূমি জরিপের একক বলা হয়।

টাকার হিসাব রাখার জন্য ব্যাংকে যেমন একটি একাউন্ট নম্বর থাকে ঠিক তেমনি জমিরও একটি একাউন্ট নম্বর থাকে। একে খতিয়ান নম্বর বলে। একটি জরিপে কোন একটি দাগ এক বা একাধিক একাউন্টে (খতিয়ানে) অন্তর্ভুক্ত থাকে। পরবর্তী জরিপে সেই দাগটি অন্য একটি নতুন একাউন্টে (খতিয়ানে) অন্তর্ভুক্ত হয়। এক্ষেত্রে, পূর্বের একাউন্ট নম্বরকে সাবেক খতিয়ান এবং বর্তমান একাউন্ট নম্বরকে হাল খতিয়ান বলে। একটু জটিল মনে হচ্ছে। ধরি, এসএ রেকর্ডে রনির এর একটি একাউন্ট (খতিয়ান নম্বর) ছিল যার নম্বর ৩০১। এই একাউন্টে ৬৫, ১০৬ ও ৩১০ এই তিনটি জমির খণ্ড (দাগ নম্বর) ছিল। তিনি এক সময় তার মালিকানার এই তিনটি দাগের জমি বিক্রি করে দেন। ৬৫ ও ১০৬ দাগের জমি বিক্রি করেন জনির নিকট এবং ৩১০ দাগের সকল জমি বিক্রি করেন সাকিবের নিকট। পরবর্তীতে বিআরএস রেকর্ডে এসএ ৬৫ এবং ১০৬ দাগটির নতুন পরিচিতি নম্বর (দাগ নম্বর) ১০৮ ও ৪০৭হয়। তখন জনির নামে ৩০৮ নম্বর একাউন্ট (খতিয়ান) খোলা হয় এবং সেই একাউন্টে বিআরএস ১০৮ও ৪০৭ দাগের জমি অন্তর্ভুক্ত হয়। এ ক্ষেত্রে ৩০৮ হলো হাল খতিয়ান এবং ৩০১ হলো সাবেক খতিয়ান। আবার, এসএ ৩০৮ দাগটি বিআরএস রেকর্ডে নতুন পরিচিতি নম্বর ৫০৭ (দাগ নম্বর) পায় এবং সেটি জামাল মিয়ার নামে ২৫৬ নং একাউন্টে (খতিয়ানে) অন্তর্ভুক্ত হয়। এক্ষেত্রে ২৫৬ হলো হাল খতিয়ান এবং ২০১ হলো সাবেক খতিয়ান।

কোন মন্তব্য নেই

ULTRA_GENERIC থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.